দিলীপ ঘোষের নতুন অধ্যায়: ৬০ বছর বয়সে রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা ।
রিঙ্কু মজুমদার আগে বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর ২৫ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ২০২১ সালে সকালের হাঁটার সময়।বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে, কলকাতার নিউ টাউনে এক ঘনিষ্ঠ ও সাদামাটা অনুষ্ঠানে। এই বিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার সৃষ্টি করেছে,
তবে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করেছেন যে এটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
![]() |
রিঙ্কু মজুমদারের ২০২৫ সালের বিয়ের একটি গ্রাফিক চিত্র |
দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে: এক নজরে সম্পর্ক, প্রেম ও জীবনের নতুন অধ্যায়
দিলীপ ঘোষের জীবনের নতুন মোড়: রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির এক পরিচিত মুখ দিলীপ ঘোষ। সদ্য তিনি এক নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন—বিয়ে। ৬০ বছর বয়সে তিনি গাঁটছড়া বাঁধলেন রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে, যিনি নিজেও একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং সমাজসেবিকা। এই বিয়ে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়েই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও আলোচনার ঝড় তুলেছে।
রিঙ্কু মজুমদারের এই নতুন অধ্যায় তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যায়।
কে এই রিঙ্কু মজুমদার?
রিঙ্কু মজুমদার একজন প্রাক্তন সাংবাদিক এবং বর্তমানে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা, ওবিসি ফ্রন্ট ও হ্যান্ডলুম সেলের সঙ্গে যুক্ত। আগে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর ২৫ বছর বয়সি একটি পুত্রসন্তান আছে। রাজনীতি, সমাজসেবা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সমানভাবে সক্রিয়।
কবে এবং কোথায় হলো বিয়ে?
বিয়ে হয়েছে ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে, কলকাতার নিউ টাউনে এক ঘনিষ্ঠ ও সাদামাটা অনুষ্ঠানে। দিলীপ ঘোষ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি কখনোই জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে চাননি। শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন এবং কিছু রাজনৈতিক সহকর্মীদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেমের শুরু কোথায়?
তাঁদের প্রেমের শুরু ২০২১ সালে। দিলীপ ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম পরিচয় হয় সকালে হাঁটার সময়। ধীরে ধীরে আলাপ থেকে বন্ধুত্ব, এবং সেখান থেকে একে অপরকে ভালো লাগা। তিন বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গভীর বিশ্বাস ও সম্মানের উপর ভিত্তি করে।
কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিয়ের জন্য?
রিঙ্কু মজুমদার নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওনাকে (দিলীপ ঘোষ) আমি দেশের অন্যতম ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ মনে করি। এই বয়সেও তিনি দারুণ ফিট এবং পরিশ্রমী।” এই প্রস্তাব দিলীপ ঘোষ হাসিমুখেই গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও জনমত
দিলীপ ঘোষের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হিসেবে দেখছেন এবং তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ একে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন। তবে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বলেছেন, “এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই।”
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য
বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “জীবনের এই সময়ে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন অনুভব করেছিলাম। রিঙ্কু একজন ভালো মানুষ এবং ওর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। রাজনৈতিক জীবনের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার।”
বিয়ের পর পরিকল্পনা কী?
দু’জনেই জানিয়েছেন, বিয়ের পর তাঁরা পৃথকভাবে রাজনীতি চালিয়ে যাবেন এবং নিজেদের কাজের দায়িত্বে অটল থাকবেন। তবে সামাজিক কাজেও একসঙ্গে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এই বিয়ে সমাজে কী বার্তা দেয়?
বয়স কোনো বাধা নয়—এই বার্তাই যেন দিলেন দিলীপ ঘোষ। ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করে তিনি সমাজে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ভালোবাসা, বিশ্বাস ও সম্মান থাকলে সম্পর্কের জন্য কখনোই দেরি হয় না।
উপসংহার
দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির একটি আলোচিত বিষয়। তবে এর পাশাপাশি এটি একটি মানবিক গল্পও, যেখানে দুটি জীবন একে অপরকে খুঁজে পেয়েছে। তাঁদের এই নতুন যাত্রা শুভ হোক—এই কামনা করেন সকলেই।
আরও খবর জানতে পড়ুনঃ ইরান আর পারমাণবিক বোমার দখল থেকে খুব বেশি দূরে নেই |
আমাদের সাথে থাকতে এবং সবার আগে খবর জানতে Breaking News Todays ব্লগে সাথে জুড়ে থাকুন । আমাদের সাইটে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ