বিশ্ব সুখ সূচক ২০২৫: পাকিস্তান-ইরান-ইউক্রেনের চেয়েও কম সুখী ভারত।
প্রতি বছর ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ওয়েলবিয়িং রিসার্চ সেন্টার' প্রকাশ করে 'ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট' বা 'বিশ্ব সুখ সূচক'। এই সূচকটি বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুখের মাত্রা পরিমাপ করে একটি তালিকা প্রকাশ করে, যা বিশ্বব্যাপী সুখের মানচিত্র তুলে ধরে।
![]() |
"বিশ্ব সুখ সূচক ২০২৫-এ ভারত ১১৮তম স্থানে, যা পাকিস্তান, ইরান ও ইউক্রেনের চেয়েও নিচে।" প্রতিকী ছবি। |
ভারত কেন সুখের সূচকে পিছিয়ে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের র্যাংকিং কমার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে—
1. অর্থনৈতিক বৈষম্য: ধনী-গরিবের ব্যবধান বেড়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়নি।
2. বেকারত্ব বৃদ্ধি: ভারতের তরুণ সমাজের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে, যা মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়িয়েছে।
3. সামাজিক অস্থিরতা: ধর্মীয় ও জাতিগত সংঘাত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে।
4. পরিবেশ দূষণ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি: দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিরিক্ত জনসংখ্যা সুখের সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
5. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: ভারতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য নয়, ফলে অনেক মানুষ মানসিক চাপ ও হতাশার শিকার হচ্ছেন।
পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের র্যাংকিং কেন ভালো?
বিশ্ব সুখ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের অবস্থান ভারতের চেয়ে ভালো। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে—
পরিবার ও সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী: পাকিস্তানে পরিবারের সংযোগ ও সামাজিক বন্ধন বেশি, যা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
পরিবার ও সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী: পাকিস্তানে পরিবারের সংযোগ ও সামাজিক বন্ধন বেশি, যা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
খরচ কম হওয়া: পাকিস্তানে জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলক কম, যা মানুষের আর্থিক চাপ কমিয়ে দেয়।
সামাজিক সহযোগিতা ও ধর্মীয় সংহতি: পাকিস্তানে সামাজিক সাহায্য ও ধর্মীয় সংহতি বেশি থাকায় মানসিক চাপ তুলনামূলক কম থাকে।
ইউক্রেন ভারতের চেয়ে সুখী কেন?
যদিও ইউক্রেন বর্তমানে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধরত, তবুও তারা ভারতের চেয়ে সুখী দেশের তালিকায় রয়েছে। এর কারণ—
একতা ও জাতীয়তাবাদ: যুদ্ধের কারণে জনগণের মধ্যে সংহতি ও একতা বেড়েছে, যা তাদের সুখের স্তর বাড়িয়েছে।
আরও খবর পড়ুনঃ পাকিস্তানের ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রকল্প: তুরস্ক ও চীনের সহযোগিতায় ২০৪৭ সালের লক্ষ্যমাত্রা
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: ইউক্রেন সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যুদ্ধক্লান্ত জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় কাজ করছে।
সরকারের প্রতি আস্থা: দেশবাসী সরকারের প্রতি বেশি আস্থাশীল, যা সুখের অনুভূতি বাড়ায়।
ভারত কি সুখী দেশের তালিকায় উন্নতি করতে পারবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি সুখের সূচকে উন্নতি করতে চায়, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে—
1. অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো
2. শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
3. পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ
4. মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা
5. সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা
বিস্তারিত পড়ুনঃ আনন্দবাজার পত্রিকা প্রতিবেদন টি।
বিশ্ব সুখ রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী ভারতের র্যাংকিং নিম্নমুখী হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধুমাত্র আর্থিক উন্নতির ওপর নির্ভর করে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক সংহতি, স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রার মানের ওপর নির্ভরশীল। যদি ভারত এই বিষয়গুলোর উন্নতি করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্ব সুখ সূচকে আরও ভালো অবস্থানে আসতে পারে।
ভারতের মিডিয়া পাকিস্তান কে এতদিন ভিক্ষারী, কাঙাল বলে আসতো। ভারতের গদি মিডিয়া যে ভুল তথ্য পরিবেশন করে তার প্রমান এটা কি?
কমেন্ট করে জানাবেন।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ