২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল গুরুতর আহত হন, এবং তাঁর বাবা দেবু পালও হামলার শিকার হন, যার ফলে তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের দিন, জীবনের স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে খুনের চেষ্টা, মারধরসহ একাধিক ধারায় কাকলি গুপ্তসহ ১৫ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বর্ধমানে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতারা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
দীর্ঘ আট বছর পর, ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ, পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের ফাস্টট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাদের জেল হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে ছিলেন বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকলি গুপ্ত, ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ এবং রায়ান-১ অঞ্চলের সভাপতি শেখ জামাল। বাকি দুই অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পান।
![]() |
আদালতের রায়ের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতারা (প্রতীকী ছবি)। |
আদালতের রায়ের পর, দোষী সাব্যস্তদের বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে কাকলি গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, কার্তিক বাগ এবং শেখ জামাল অসুস্থতা বোধ করেন। তাদের তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কাকলি গুপ্তের বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়ায় এবং ইসিজি রিপোর্টে সমস্যা ধরা পড়ায় তাকে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকি তিনজনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
আরও পড়ুন খবরঃ গলসিতে বেআইনি বালি পাচার রুখল পুলিশ, আটক ৯টি ট্রাক্টর
এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছেন যে তৃণমূল নেতারা আইনি প্রক্রিয়া থেকে বাঁচতে অসুস্থতার অজুহাত দিচ্ছেন। সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে অতীতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে দেখা গেছে যখন কোনও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকে, তাঁদের আশ্রয় হয়ে ওঠে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড।" সুত্রঃ KOLKATA24×7
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে অভিযুক্তরা সত্যিই অসুস্থ। তারা বিরোধীদের এই ধরনের মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছেন।
বিস্তারিত পড়ুনঃ আনন্দ বাজার পত্রিকা প্রতিবেদন টি ৷ - অসুস্থ হয়ে পড়লেন বর্ধমান তৃণমূলের সভাপতি কাকলি
এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক চলছে। সুত্রঃ KOLKATA24×7
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ