ভারতের সেনাপ্রধানের তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা, কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ ?
হাসিনাকে ফেরাতে চরম সিদ্ধান্তে ভারত, সেনাপ্রধানের হাত ধরেই দেশের পথে শেখ হাসিনা!
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের সেনাপ্রধানের মধ্যস্থতায় শেখ হাসিনা দেশের পথে রওনা হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও ভারতীয় ভূমিকা
২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দাবির মুখে শেখ হাসিনার সরকার চাপে পড়ে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। অবশেষে এক অভ্যুত্থানের শঙ্কা তৈরি হলে শেখ হাসিনা ভারত সরকারের আশ্রয়ে চলে যান।
![]() |
"প্রতীকী ইনফোগ্রাফিক: শেখ হাসিনার ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন।" |
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক থাকায় তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের চাপও বাড়তে থাকে।
ভারতের সিদ্ধান্ত ও সামরিক কূটনীতি
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতকে অনুরোধ করেছিল যেন শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে ভারত প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, কারণ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
অবশেষে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শেখ হাসিনার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়। ভারত চায়, শেখ হাসিনা যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা
বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা চায় শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আইনের মুখোমুখি হন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ অবশ্য এই অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে।
ঢাকায় এ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। একদিকে বর্তমান সরকার চায় তাঁকে আইনের আওতায় আনতে, অন্যদিকে তাঁর সমর্থকরা চাইছেন তিনি আবার নেতৃত্বে আসুন।
চীনের ভূমিকা ও ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের এই টানাপোড়েনে চীন লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত যখন শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তখন চীন বাংলাদেশকে আরও অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
আরও খবর পড়ুনঃ হঠাৎ বাংলাদেশ সফরে সিনিয়র মার্কিন সেনা কর্মকর্তা, উদ্দেশ্য কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু এখন ভারতের কৌশল বদলেছে, কারণ তারা চীনের প্রভাব কমাতে চায়।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাব্য ফলাফল
১. রাজনৈতিক অস্থিরতা: শেখ হাসিনার ফেরার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।
২. ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: ভারত চায়, শেখ হাসিনা আবার নেতৃত্বে আসুন, যাতে ভারত তার কৌশলগত প্রভাব বজায় রাখতে পারে।
৩. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: পশ্চিমা দেশগুলো শেখ হাসিনার ফেরত আসাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।
বর্তমানে, শেখ হাসিনা ভারতের সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর ফেরার পর বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নঃ
এখন দেখার বিষয় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল । কারণ ভারত ভালভাবেই জানে বাংলাদেশের ওপর নাক গলাতেই হবে। পাকিস্থানের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক যেভাবে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। ভারত সবসময় চায় শেখ হাসিনা আবার নেতৃত্বে আসুক । কারণ বাংলাদেশ কে হাতের পতুল করে রাখা সহজ হবে ।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ