মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি৷

২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারে ভয়াবহ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই ভূমিকম্পের প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে তা প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, চীন, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকাতেও অনুভূত হয়।

মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি৷ 

ইরাবতী নদীর পাড়ে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ মান্দালে শহরে এই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকেও তা অনুভূত হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের সাগাইং শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবন মুহূর্তেই ধসে পড়েছে।

মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ৷

মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি:

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানায়, ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জন নিহত এবং ৭৩২ জন আহত হয়েছেন। রাজধানী নেপিদোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানে "গণহতাহতের এলাকা" হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মান্দালয়ে একটি মসজিদ ধসে পড়ায় প্রার্থনারত অবস্থায় কয়েকজন নিহত হন। এছাড়া, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। সুত্রঃ- bd-pratidin.com


ব্যাংককে ভূমিকম্পের ফলে উচ্চ ভবন কাঁপছে এবং ফাটল দেখা যাচ্ছে।
মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাব ব্যাংককের বিভিন্ন ভবনে অনুভূত হয়,  কিছু ভবনে সুইমিং পুলের পানি ঝর্ণার মতো নির্গমন দেখা যায়। সংগৃীহত ছবি ৷৷


প্রতিবেশী দেশসমূহে প্রভাব:

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়, যেখানে একটি ৩০ তলা নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং ৮৪ জন শ্রমিক আটকা পড়েন। প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রা জরুরি বৈঠক শেষে ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। চীনের ইউনান প্রদেশেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারতের কলকাতা ও মণিপুর, বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। সুত্রঃ- bd-pratidin.com

উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম:

মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো কাজ করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

ভূমিকম্পের বৈশিষ্ট্য:

ভূমিকম্পটি ছিল অগভীর, যা সাধারণত বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে। এর ফলে মিয়ানমারের সাগাইং ও মান্দালে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে, যা উদ্ধারকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।

সতর্কতা ও পরামর্শ:

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের পরবর্তী কম্পনের জন্য সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। ভবনগুলোর স্থিতিশীলতা যাচাই না করা পর্যন্ত সেগুলোতে প্রবেশ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই ভয়াবহ ভূমিকম্প মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি বড় ধাক্কা। আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন ও অবকাঠামো পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।


মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি 

২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল দেশটির অন্যতম প্রধান শহর মান্দালের থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।

ইরাবতী নদীর পাড়ে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ মান্দালে শহরে এই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকেও তা অনুভূত হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের সাগাইং শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবন মুহূর্তেই ধসে পড়েছে।

এছাড়াও, মিয়ানমারের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে, যা সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। (সুত্রঃ- bd-pratidin.com)

ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপট:

মিয়ানমার একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। দেশটি ইন্দো-বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত সক্রিয় একটি এলাকা। এই অঞ্চলে পূর্বেও বেশ কয়েকটি বড় ভূমিকম্প ঘটেছে, যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কারণ হয়েছে।

পূর্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্পসমূহ:

২০১৬ সালের ভূমিকম্প: ২৪ আগস্ট ২০১৬ সালে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেশ কয়েকটি প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে বাগান শহরে।

২০১১ সালের ভূমিকম্প: ২৪ মার্চ ২০১১ সালে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঘটে, যার ফলে অন্তত ৭৫ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়।

বর্তমান পরিস্থিতি:

সর্বশেষ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর মিয়ানমার সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। মান্দালে শহরে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তবে অবকাঠামোগত ক্ষতির কারণে উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের এই দুর্যোগে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ, তাদের সহায়তা প্রদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া:

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে, এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের সংকট দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষজন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে এবং প্রিয়জনদের নিরাপত্তা সম্পর্কে তথ্য খুঁজছে।

ভূমিকম্পের বৈশিষ্ট্য:

৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের তুলনামূলকভাবে অগভীর গভীরতায় সংঘটিত হয়েছে, যা এর তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। অগভীর গভীরতায় সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো সাধারণত বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে, কারণ সেগুলোর কম্পন ভূপৃষ্ঠে বেশি অনুভূত হয়।

ভবিষ্যৎ করণীয়:

মিয়ানমার সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা প্রদান করা যায়। এছাড়াও, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। 

বিস্তারিত পড়ুনঃ থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণ কী?

উপসংহার:

মিয়ানমারে সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প দেশটির জন্য একটি বড় ধাক্কা। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

📢 IPL LIVE SCORE 2025


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: skmdsamimsms@gmail.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ