গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত: বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত: বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে। এই বর্বর হামলার ফলে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল আক্রমণ পুনরায় শুরু করার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন এবং এই রক্তপাতের জন্য হামাসকে দায়ী করেন।

হোয়াইট-হাউসের-প্রেস-সেক্রেটারি-সংবাদ-সম্মেলনে-বক্তব্য-দিচ্ছেন
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি গাজার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন - ছবি: সংগৃহীত



গাজায় ইসরায়েলের হামলা: প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে

১৯ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও, ইসরায়েল তা লঙ্ঘন করে গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে হামলা শুরু করে। এই হামলায় প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আহত হন আরও ১০৪২ জন। বিশেষ করে বৃহস্পতিবারের বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বর্বর হামলার কেও সমর্থন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি লিভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যদি তারা সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে দোষ হামাসের। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দি সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হোক।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উত্তরাঞ্চলের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফারেস আওয়াদ জানান, বেইত লাহিয়ার জনগণের জন্য এটি ছিল এক রক্তাক্ত রাত। উদ্ধারকারীরা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ।

এই সংঘর্ষের ফলে গাজার অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোমাবর্ষণের কারণে বহু বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক সেবার অভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই সমর্থন ইসরায়েলকে আরও উৎসাহিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


মানবিক সংকট ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি

গাজার সাধারণ মানুষ এই সংঘর্ষের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে তারা চরম বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বিশ্ববাসীর উচিত এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সংঘর্ষের উভয় পক্ষকে সংযত থাকা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা শুরু করতে উৎসাহিত করা। শুধুমাত্র সংলাপের মাধ্যমেই এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের সমাধান সম্ভব।

গাজার জনগণের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। খাদ্য, পানি, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের মতো মৌলিক সেবা প্রদানে বিশ্ববাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আরও খবর পড়ুনঃ বিশ্ব সুখ সূচক ২০২৫: পাকিস্তান-ইরান-ইউক্রেনের চেয়েও কম সুখী ভারত।

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। এই সংঘর্ষের স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলায় প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে। গাজার মানবিক সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। 

গাজার এই মানবিক বিপর্যয় আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, যুদ্ধ কখনোই সমস্যার সমাধান নয়। শান্তি, সংলাপ এবং পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমেই আমরা একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

বিশ্ববাসীর উচিত এই সংকটময় মুহূর্তে গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করা। শুধুমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা এই মানবিক বিপর্যয় থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে পারি।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি আমাদেরকে মানবতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। আসুন, আমরা সবাই মিলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি এবং এই পৃথিবীকে সবার জন্য বাসযোগ্য করে তুলি।


📢 IPL LIVE SCORE 2025


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: [email protected]

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ