পায়ে চেন বেঁধে আমেরিকা ভারতের অভিবাসিদের এনেছেন কি লজ্জা ৷

পায়ে চেন বেঁধে আমেরিকা ভারতের অভিবাসিদের এনেছেন কি লজ্জা ৷

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে, এই অভিবাসীদের সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠানো এবং তাদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তুলেছে।

প্রেক্ষাপট:

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। 

পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০২২ সালের তথ্যানুসারে, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী রয়েছেন আমেরিকায় প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার এইগুলো সবই ছিলো অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী।


সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে, অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে, গত সপ্তাহে ১০৪ জন ভারতীয় অভিবাসীকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।

আরও খবর পড়ুনঃ ভারত নতুন জার্সি পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামছে, দেখে নিন ডিজাইন ৷

অভিযোগ ও সমালোচনা:

পায়ে-চেন-বেঁধে-আমেরিকা-থেকে-ভারতীয়-অভিবাসীদের-ফেরত-পাঠানো
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ভারতীয় অভিবাসীদের ছবি।

ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের অভিযোগ, তাদেরকে বিমানে তোলার সময় হাতকড়া এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল, যা অত্যন্ত অমানবিক এবং লজ্জাজনক। এ ধরনের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে সমালোচকরা মনে করছেন।

বিরোধী দলগুলো এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারকে সমালোচনা করেছে এবং লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছে। তাদের দাবি, সরকারের উচিত ছিল এই ধরনের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো।

সরকারি প্রতিক্রিয়া:

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর রাজ্যসভায় জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫,৭৫৬ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তবে, তাদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মানবাধিকার সংস্থার প্রতিক্রিয়া:

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ধরনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো যেতে পারে, তবে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা উচিত। হাতকড়া এবং পায়ে শিকল পরানো অমানবিক এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের লঙ্ঘন।

চেন বেঁধে আমেরিকা ভারতের অভিবাসিদের এনেছেন

ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যেও এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং সরকারের কাছ থেকে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া আশা করছেন। পায়ে চেন বেঁধে আমেরিকা ভারতের অভিবাসিদের এনেছেন কি লজ্জা বিষয় ৷ 

ভারত পারবে এর প্রতিবাদ করতে ?

যুক্তরাষ্ট্র বলেই কি সাহস দেখাতে পারবে না

মোদি তো ট্রাম্পের জিক্করি দোস্ত ! 

প্রতিবাদ করতে পারবে তো ?

এটা যদি পাকিস্তান,বাংলাদেশ,মায়ানমার,নেপাল,শ্রীলঙ্কা মতো চুনোপটি দেশ হতো রাজনৈতিক সার্থে হুঙ্কার ছাড়তে দেরি করতো না ৷ গদি মিডিয়ার কথা না হয় ছেড়েই দিলাম ৷ গদি মিডায়ারা এতক্ষনে হয়তো বাঁদর খেলার মতো ধারাভাষ্যকার দিত ৷

ভারতের-পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সুব্রহ্মণ্যম-জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর

উপসংহার:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, তাদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উভয় দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা এবং সাধারণ জনগণ এই ধরনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আরও সমন্বয় এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সরকারকে অভিবাসন নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং অভিবাসীদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করা উচিত। এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য নয়, মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বোপরি, অভিবাসন একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়, যা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এই বিষয়ে উভয় দেশের সরকারকে আরও সংবেদনশীল এবং মানবিক হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনা এড়ানো যায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সরকারকে অভিবাসন নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং অভিবাসীদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করা উচিত। এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য নয়, মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বোপরি, অভিবাসন একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়, যা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এই বিষয়ে উভয় দেশের সরকারকে আরও সংবেদনশীল এবং মানবিক হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনা এড়ানো যায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সরকারকে অভিবাসন নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং অভিবাসীদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করা উচিত। এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য নয়, মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

বিস্তারিত পড়ুনঃ  চেন বেঁধে আমেরিকা ভারতের অভিবাসিদের এনেছেন আরও বিস্তারিত জানতে এই খবরটি পড়ুন :

সর্বোপরি, অভিবাসন একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়, যা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এই বিষয়ে উভয় দেশের সরকারকে আরও সংবেদনশীল এবং মানবিক হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এইরকম অমানবিক আচরণ যাতে না করে ৷

📢 IPL LIVE SCORE 2025


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: skmdsamimsms@gmail.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ