পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার শাস্তির মুখে, কারণ জানুন
পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় তিন ক্রিকেটারকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, ব্যাটসম্যান সৌদ শাকিল এবং কামরান গুলাম উল্লেখযোগ্য। তবে, এই ঘটনাটি নিষেধাজ্ঞার পর্যায়ে না গিয়ে শুধুমাত্র আর্থিক জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
শাহীন শাহ আফ্রিদি ম্যাচ ফি-এর ২৫% জরিমানা গুনেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ব্রিটজকের রান নেওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তার পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য। অন্যদিকে, সৌদ শাকিল এবং কামরান গুলাম তাদের ম্যাচ ফি-এর ১০% করে জরিমানা দিয়েছেন তেম্বা বাভুমার রান আউটের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশের সময় প্রতিপক্ষের খুব কাছাকাছি গিয়ে উস্কানিমূলক আচরণ করার জন্য। তিনজন খেলোয়াড়ই তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
![]() |
পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে পিসিবি |
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের শাস্তি
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে খেলোয়াড়দের নিষেধাজ্ঞার ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সালমান বাট, যিনি সেই সময় পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন, তাকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে ৫ বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। মোহাম্মদ আসিফকে ৭ বছরের নিষেধাজ্ঞা (২ বছর স্থগিত) এবং মোহাম্মদ আমিরকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার পর, সালমান বাট ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে আসেন এবং ওয়াপদা দলের হয়ে ন্যাশনাল ওয়ান ডে কাপে অংশ নেন। তিনি ৭ ম্যাচে ৫৩৬ রান করে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রান সংগ্রাহক হন। এরপর তিনি ২০১৭-১৮ ন্যাশনাল টি২০ কাপে কামরান আকমলের সাথে মিলে ২০৯ রানের অপরাজিত উদ্বোধনী জুটি গড়ে টি২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েন।
আরও খবর পড়ুনঃ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রীত বুমরাহ, বড় ধাক্কা ভারতের জন্য!
শাহিদ আফ্রিদি, পাকিস্তানের আরেক প্রখ্যাত ক্রিকেটার, তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং লেগ স্পিন বোলিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তিনি ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮টি ওয়ানডে এবং ৯৯টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। আফ্রিদি ২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এবং ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণ অবসর ঘোষণা করেন। ( সুত্র - Reuters.com)
পাকিস্তানের ক্রিকেটে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জ। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা দলের সামগ্রিক শৃঙ্খলা ও পারফরম্যান্স উন্নত করতে সহায়ক হবে।
বিস্তারিতঃ এইখবরটি পড়তে পারেন ৷ শাহিনের, সাজা পাকিস্তানের
পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার শাস্তির মুখে, উপসংহার
পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে তারা দলের নীতিমালা ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, যার ফলে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়।এই দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তির পর, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে, PCB-এর কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে এই ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা দলের মধ্যে ভালো সংস্কৃতি তৈরি করতে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যদিও এই ঘটনা একটি খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, তবে ক্রিকেটারদের জন্য এটা একটি শিক্ষা হতে পারে যে, পেশাদারিত্বের সাথে শৃঙ্খলা বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। PCB এখন আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে দলের শৃঙ্খলা এবং নীতি নির্ধারণে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।
এই ঘটনার পর, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য এটি একটি অপ্রত্যাশিত বাঁধা হয়ে দাঁড়াল, তবে তারা নিশ্চিত করেছে যে এই ঘটনার পর দল আরও শক্তিশালী হবে এবং সবার মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ