পাকিস্তানের নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি! চীনের সহায়তায় হ্যাঙ্গর-ক্লাস এআইপি সাবমেরিন
পাকিস্তান চীনের সহায়তায় তাদের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। চীনের কাছ থেকে হ্যাঙ্গর-ক্লাস সাবমেরিন সংগ্রহের মাধ্যমে পাকিস্তান এয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রপালশন (এআইপি) প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তানের সাবমেরিন বহর আরও উন্নত ও কার্যকর হবে।
হ্যাঙ্গর-ক্লাস সাবমেরিনগুলি এআইপি প্রযুক্তি সজ্জিত, যা সাবমেরিনকে দীর্ঘ সময় পানির নিচে অপারেশন চালাতে সক্ষম করে। এআইপি প্রযুক্তির মাধ্যমে সাবমেরিনগুলি ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত পানির নিচে থাকতে পারে, যেখানে প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন সাধারণত মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে সক্ষম।
![]() |
প্রতিকী - ছবি |
বর্তমানে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে ১১টি এআইপি সমৃদ্ধ সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি আগোস্টা ৯০বি সাবমেরিনে ফ্রেঞ্চ এআইপি সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে ১৬টি প্রচলিত সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ছয়টি কর্মক্ষম। ভারত দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাবমেরিন বহরে এআইপি প্রযুক্তি সংযোজনের চেষ্টা করছে। প্রজেক্ট ৭৫-আই কর্মসূচির আওতায় জার্মানির থিসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমস এবং স্পেনের নাভান্তিয়ার সঙ্গে ছয়টি এআইপি সমৃদ্ধ সাবমেরিন নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। তবে, এই প্রকল্পের সম্পন্ন হতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগতে পারে।
ভারতের সাবেক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশের মতে, পাকিস্তানের এই উন্নয়ন ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, "এআইপি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সাবমেরিনের সঙ্গে কেবল পারমাণবিক আক্রমণকারী সাবমেরিনের তুলনা করা যায়। কিন্তু পারমাণবিক আক্রমণকারী সাবমেরিনও খুব শব্দ করে চলে, যা অনেক দূর থেকে শনাক্ত করা যায়। আমাদের পারমাণবিক সাবমেরিন আছে কিন্তু সেগুলো ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন। পারমাণবিক হামলা না হলে এইগুলো দিয়ে নিয়মিত কাজ চালানো যায় না।"
আরও খবর পড়ুন ঃ চিন ভারতের নাগালে বাইরে চলে যাচ্ছে, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সফল ৷
ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কমোডর সি উদয় ভাস্কর বলেন, "চীনের কাছ থেকে পাকিস্তানের সাবমেরিন পাওয়ার এই ঘটনা ভারতের নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীদের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক।" তিনি আরও বলেন, "পানির নিচে সমন্বিত সক্ষমতা বাড়াতে ভারতের আসলেই কাজ করা উচিত। আর তা শুধু সাবমেরিন নিয়েই নয়, অন্যান্য বিষয়েও। যেমন সেন্সর বা অন্যান্য সম্পদ যেগুলো ভারতকে পানির নিচের সামগ্রিক চিত্র দেবে।"
বিস্তারিত পড়ুন ঃ ভারতীয় নৌবাহিনীকে চাপে ফেলছে পাকিস্তান !
সাম্প্রতিক সময়ে, ভারত জার্মানির সঙ্গে ৪২,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে ছয়টি এআইপি সমৃদ্ধ সাবমেরিন নির্মাণ করা হবে। এই চুক্তির আওতায়, জার্মানির থিসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমস এবং ভারতের মাজাগাঁও ডকইয়ার্ড লিমিটেড যৌথভাবে এই সাবমেরিনগুলি নির্মাণ করবে।
পাকিস্তানের এই উন্নয়ন এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উভয় দেশের নৌবাহিনীর এই প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ