সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ঘোষণা করলেন বিচারক অনির্বাণ দাস
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি ২০২৫: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। সোমবার এই রায় ঘোষণার সময় বিচারক জানান, সঞ্জয়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু), এবং ১০৩(১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিচারক আরও বলেন, এই ঘটনা 'বিরলতমের মধ্যে বিরল' নয়, তাই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা প্রদান করা হলো।
সাজা ঘোষণার আগে সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে কাঁদেন এবং রুদ্রাক্ষ তত্ত্বের উল্লেখ করেন। তবে বিচারক তার এই দাবি গ্রহণ করেননি। সাজা ঘোষণার পর আদালত রাজ্য সরকারকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, "এই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অর্থ দিয়ে করা যায় তা আমি মনে করি না। তবে কর্তব্যরত মহিলাদের রক্ষা করা রাজ্যের দায়িত্ব। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই নিয়ম।"
মামলার পটভূমি: কী হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে?
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চতুর্থ তলায় সেমিনার রুম থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
![]() |
প্রিন্ট মিডিয়া থেকে নেওয়া ৷ |
এই মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ১১ নভেম্বর ২০২৪ সালে। ১২ নভেম্বর থেকে ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল শুরু হয়। গত শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সোমবার, ২০ জানুয়ারি, সাজা ঘোষণার সময় বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, "সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যতদিন সে বেঁচে থাকবে, ততদিন তাকে কারাগারে থাকতে হবে।"
আরও খবর পড়ুনঃ সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সঞ্জয় রায়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে আদালতে আনা হয় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে। সাজা ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। অনেকে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সরব হন। তবে বিচারক জানান, "এই ঘটনা বিরলতমের মধ্যে বিরল নয়," তাই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা প্রদান করা হলো।
বিস্তারিত পড়ুন ঃ 17 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
এই রায়ের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো, তবে নির্যাতিতার পরিবার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে গেছে, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কিনা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিবিআইয়ের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে সবাই।
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ