কেজরিওয়ালের অভিযোগ: দিল্লির জলে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে হরিয়ানা সরকার!
নয়াদিল্লি, ২৭ জানুয়ারি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে হরিয়ানার বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দিল্লির পানিতে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে। তার মতে, এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দিল্লিবাসীকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনস্বাস্থ্য নিয়ে খেলা করা হচ্ছে।
কেজরিওয়ালের দাবি: দিল্লির পানিতে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে হরিয়ানা বিজেপি সরকার
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "দিল্লির পানির মান হঠাৎ করেই খারাপ হতে শুরু করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে এতে বিষাক্ত রাসায়নিকের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এই জল আসছে হরিয়ানার থেকে, এবং আমরা সন্দেহ করছি যে বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এটি দূষিত করছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই দূষিত জল সরবরাহের কারণে দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকে পানি সংক্রান্ত নানা অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হরিয়ানা সরকার যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করে, তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।"
বিজেপির পাল্টা প্রতিক্রিয়া
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই দাবির পরপরই হরিয়ানার বিজেপি সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার বলেন, "এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। কেজরিওয়াল নির্বাচনের আগে মানুষের সহানুভূতি পেতে এসব বলছেন। আমরা দিল্লির জল সরবরাহের ব্যাপারে সবসময়ই দায়িত্বশীল ছিলাম এবং থাকব।"
![]() |
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিষাক্ত পানি সরবরাহের অভিযোগ তুলেছেন |
বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "দিল্লির পানির মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিল্লি জাল বোর্ডের (DJB)। যদি পানি দূষিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটি দিল্লি সরকারের অযোগ্যতার কারণে হয়েছে। আমাদের দোষারোপ করার কোনো মানে নেই।"
🚱জল দূষণের বাস্তবতা
দিল্লির পানি দূষণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই শীতকালে যমুনা নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় এবং শিল্প বর্জ্য মিশে যাওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যমুনার পানি যথাযথ পরিশোধন না করেই দিল্লির নলকূপ ও সরবরাহ লাইনে পৌঁছানো হলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) এবং দিল্লি জল বোর্ড (DJB) এর তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি যমুনার পানিতে অ্যমোনিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জল শোধনের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিনের কার্যকারিতা হ্রাস করে। এতে পানির স্বাদ, রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
রাজনৈতিক বিতর্ক ও জনমনে উদ্বেগ
দিল্লির জল সংকট নিয়ে কেজরিওয়াল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। ২০২০ সালে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে দিল্লির ৯৮% পানিই বিশুদ্ধ, যা বিজেপি অস্বীকার করেছিল। এবার তার বিষমিশ্রণের অভিযোগ নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন যে তাদের পানির রঙ হলদেটে, আবার কেউ বলছেন গন্ধযুক্ত জল আসছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
দিল্লি সরকার ইতোমধ্যেই হরিয়ানার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
এই বিতর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—দিল্লিবাসী বিশুদ্ধ জল পাচ্ছে কি না। যদি সত্যিই জল দূষণের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় এবং এই বিতর্ক কতদূর গড়ায়।
আরও খবর পড়ুনঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি সহায়তা বন্ধ করলেন, শুধু দুই দেশ পাবে ৷
🚱জল দূষণের বাস্তবতা
দিল্লির পানি দূষণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই শীতকালে যমুনা নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় এবং শিল্প বর্জ্য মিশে যাওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যমুনার পানি যথাযথ পরিশোধন না করেই দিল্লির নলকূপ ও সরবরাহ লাইনে পৌঁছানো হলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) এবং দিল্লি জল বোর্ড (DJB) এর তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি যমুনার পানিতে অ্যমোনিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জল শোধনের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিনের কার্যকারিতা হ্রাস করে। এতে পানির স্বাদ, রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
রাজনৈতিক বিতর্ক ও জনমনে উদ্বেগ
দিল্লির জল সংকট নিয়ে কেজরিওয়াল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। ২০২০ সালে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে দিল্লির ৯৮% পানিই বিশুদ্ধ, যা বিজেপি অস্বীকার করেছিল। এবার তার বিষমিশ্রণের অভিযোগ নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন যে তাদের পানির রঙ হলদেটে, আবার কেউ বলছেন গন্ধযুক্ত জল আসছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
দিল্লি সরকার ইতোমধ্যেই হরিয়ানার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
এই বিতর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—দিল্লিবাসী বিশুদ্ধ জল পাচ্ছে কি না। যদি সত্যিই জল দূষণের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় এবং এই বিতর্ক কতদূর গড়ায়।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ