চিন ভারতের নাগালে বাইরে চলে যাচ্ছে, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সফল ৷
চীন সামরিক ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে চীনের আকাশে দুটি নতুন মডেলের যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়, যা চেংডু এবং শেনইয়াং বিমান নির্মাতা কোম্পানির তৈরি।
ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য:
স্টেলথ প্রযুক্তি: এই বিমানগুলি অত্যন্ত উন্নত স্টেলথ সিস্টেমের মাধ্যমে রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনে।
হাইপারসনিক গতি: সাধারণ যুদ্ধবিমানের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): বিমান পরিচালনায় AI-এর সাহায্যে আরও দক্ষতা অর্জন করেছে, যা প্রচুর পরিমাণে ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং বাস্তব সময়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
নেটওয়ার্কড যুদ্ধ: বিমানটি অন্যান্য ড্রোন, স্যাটেলাইট এবং স্থল-সেনার সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে পারে।
![]() |
6th Genaration-Fighter |
নতুন প্রজন্মের অস্ত্র: লেসার বা মাইক্রোওয়েভ-ভিত্তিক অস্ত্র পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে, যা মহাকাশে শত্রুর গুপ্তচর উপগ্রহকেও ধ্বংস করতে পারে।
ভারতের জন্য কৌশলগত প্রভাব:
চীনের এই সাফল্যের ফলে ভারতের প্রতিরক্ষায় বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে:
আকাশপথে আধিপত্য: ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট থাকলে চীনের আকাশপথে আধিপত্য আরও বাড়বে। ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল বা সু-৩০ এমকেআই-এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলির পক্ষে এই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হতে পারে।
সমুদ্রপথে সংঘাতের ঝুঁকি: চীনের নৌবাহিনী টাইপ ০৭৬ অ্যাম্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট শিপের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ যুক্ত করেছে, যা ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াবে।
গোয়েন্দাগিরি ও সাইবার যুদ্ধ: KJ-৩০০০ এবং AI-চালিত ফাইটার জেটের মাধ্যমে চীন সাইবার যুদ্ধ এবং গোয়েন্দাগিরির ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে পারে।
আরও খবর পড়ুন :লাদাখে নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরি করছে চীন, ভারতের প্রতিক্রিয়া তীব্র
ভারতের করণীয়:
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের উচিত—
পঞ্চম ও ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরিতে জোর দেওয়া। যা এই মহুতে মোটেই সম্ভাবপর নয় ৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা। যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের F -35 হাসিল করা , যদিও এটা অবাস্তব পরিকল্পনা হবে ৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান কে চটাতে চাইবে না ৷
সমুদ্রপথে নজরদারি জোরদার করা এবং ভারত মহাসাগরে আধিপত্যটা বজায় রাখা ৷
AI-চালিত অস্ত্র ও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ করা। তবে এইদিকেও টেকনোলজি দিকেও চিনের ধারে পাশে নেই ভারত ৷
চীনের এই বড় সাফল্যের ফলে চীন-ভারত প্রতিরক্ষা প্রতিযোগিতা নতুন মাত্রা হতে চলেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ