লাদাখে নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরি করছে চীন, ভারতের প্রতিক্রিয়া তীব্র
চীন তাদের নতুন প্রশাসনিক নীতির আওতায় লাদাখ অঞ্চলে একটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপটি ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিরোধ চলমান।
নতুন পরিকল্পনা
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, চীনের স্থানীয় সরকার লাদাখের অরুণাচল প্রদেশের কাছাকাছি এলাকায় একটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। চীন এই অঞ্চলকে তাদের মানচিত্রে "দক্ষিণ তিব্বত" নামে পরিচিত অঞ্চল হিসেবে দাবি করে থাকে। এই নতুন প্রশাসনিক কাঠামোতে নতুন প্রশাসনিক কেন্দ্র স্থাপন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
![]() |
প্রতি-ছবি - চিত্র |
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, "লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীনের এই পদক্ষেপ স্পষ্টতই ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন।" ভারতের পক্ষ থেকে চীনের এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
লাদাখ অঞ্চলে চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা বহুদিনের। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর থেকে পরিস্থিতি আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। চীন ও ভারত উভয়ই সীমান্ত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং সামরিক অবকাঠামো উন্নত করেছে। এই নতুন প্রশাসনিক পরিকল্পনা লাদাখ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
চীনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো চীনের এই আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করেছে। তারা এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ভারতের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে আরও জটিল হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হলে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি সমাধানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন : মোদিকে ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত করেন নি এখনো পর্যন্ত।
চীনের নতুন প্রশাসনিক পরিকল্পনা শুধু লাদাখ অঞ্চলের পরিস্থিতি নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিক ভারসাম্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ভারতের উচিত কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক থেকেই প্রস্তুত থাকা, যাতে এই পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ না করে।
টিভি নিউজ সুত্রে খবর ৷
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
1 মন্তব্যসমূহ
Good News 👍
উত্তরমুছুন