সাতসকালেই পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের সামনে ধুন্ধুমার। চলল গুলি।
নিশানায় ছিলেন অকালি দলের নেতা তথা পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণ সিং চৌওরাকে। কে ইনি? কী তাঁর পরিচয়?
সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন থেকেই পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। পরিচিত খলিস্তানি হিসেবে। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন সুখবীর বাদল। তিনি অসুস্থ। পায়ে তাঁর ফ্যাকচার হয়েছে। তাই এ দিন হুইলচেয়ারে ছিলেন সুখবীর। প্রকাশ্যে এসেছে এদিনের ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে সুখবীরকে বর্শা হাতে। হঠাৎই স্বর্ণমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। কাছে থাকা মন্দিরের অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে আততায়ীকে ঘিরে ধরেন। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর হাতে থাকা পিস্তলও।
পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের সামনে ধুন্ধুমার
ওই হামলাকারী বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাঁর নামে রয়েছে পাচারের অভিযোগও। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। নারায়ণ সিং চৌওরা পাকিস্তান থেকে পাঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার করতেন বলে খবর। এই অভিযোগে তিনি জেলবন্দি ছিলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে। গেরিলা যুদ্ধের ওপর বইও লিখেছেন ওই ব্যক্তি।
![]() |
স্বর্ণ - মন্দির |
আরও পড়ুন :
কিন্তু পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলকে পাহারায় ছিলেন কেন? শাস্তিস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কীসের এই শাস্তি? তাঁকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির -সহ বেশ কয়েকটি গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছিল শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখত। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাবা প্রকাশ সিং বাদলের মন্ত্রিসভায় পাঞ্জাব সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুখবির বাদল। সেই সময়ই 'ডেরা সাচা সৌদা'র প্রধান গুরমীত রাম রহিম পবিত্র গ্রন্থসাহিবকে অপমান করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই সময় রাম রহিমের পাশেই ছিলেন সুখবীর। যা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে প্রবল আঘাত করেছিল বলে অভিযোগ। শিখদের স্বার্থ বিরোধী সেই কাজের অভিযোগে সুখবীরকে তনখাইয়া বা বিধর্মী ঘোষণা করেছিল শিখ ধর্মের সর্বোচ্চ সংস্থা অকাল তখত।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ