শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সর্বনাশের জন্য দায়ী করলেন ইউনূস।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করে সম্প্রতি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আওয়ামি লিগের সমাবেশে তোপ দেগেছিলেন স্বৈচারী ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল বক্তিতায় দাবি করেছিলেন ইউনূসই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী ছাত্রদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিত ভাবে মুহাম্মদ ইউনূসই গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। এরাই হচ্ছে মূলকান্ডারী।
![]() |
মুহাম্মদ ইউনূস |
তারই পাল্টা এ বার যেন স্বৈচারী ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সর্বনাশের জন্য দায়ী করলেন ইউনূস। মন্তব্যটা যদিও কয়েকদিন আগের। গত শনিবার এক আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকার ইউনূস বলেন... বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচারবিভাগীয় সংস্কারের পরই সাধারণ নির্বাচন করা হবে। আসলে দেশের যা সর্বনাশ ওঁর হামলে হয়ে গিয়েছে, তা আর বলার নয়।"
শেখ হাসিনার পনেরো বছরের শাসনকালে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস।
বাংলাদেশের বহু মিডিয়া ওই ইন্টারভিউটি ধরে খবর করেছে সারাদিন। যেখানে ইউনূসকে কোট করে লেখা হয়েছে— শেখ হাসিনার পনেরো বছরের শাসনকালে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে শাসকদল লুটেপুটে খেয়েছে , সাধারনমানুষকে শোষন করেছে স্বৈচারী ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনরায় গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। তাই এ সব সামলে হবে নির্বাচন। নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার উপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে।
আরও খবর : বাংলাদেশ ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিটিআরসি
নিউ ইয়র্কের আওয়ামি সমাবেশে হাসিনা দাবি করেছিলেন বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাঁকেও খতম করার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। হাসিনার সংযোজন— বিপ্লবের নামে নির্বিচারে যখন গণহত্যা চলছিল আমি তখনই দেশছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার সেনা-পুলিশ গুলি চালালে সে দিন গণভবনে অনেকে মারা যেতেন। আমি সেটা চাইনি। তাই দেশ ছেড়েছিলাম।
এই মুহূর্তে হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে আছেন । তাঁকে কি আদৌ ফেরানো সম্ভব ?? হাসিনার হস্তান্তর প্রসঙ্গে ইউনূস ওই মিডিয়াকে বলেন - বিচার শেষে তাঁর (স্বৈচারী ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় এলে ভারতের কাছে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব।
পরবর্তীতে একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে ইউনূসের দাবি করেন ভারত এই আইন মেনে হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য থাকবে।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ