আমরা কলার চুষবো না, নিউক্লিয়ার বম্ব আক্রমণ করা হবে’ ভারতকে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা মোদিকেও হুমকি
কলার পরিবর্তে নিউক্লিয়ার বম্ব লাঞ্চ করা হবে, এই হুঁশিয়ারি ভারতকে দিয়েছেন বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা। মোদিকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে লক্ষ্য বানানোর চেষ্টা করবেন না। এতদিন ধমক-ধমকি চলছিল, এবার সরাসরি পরমাণু বোমার কথাও বলা হলো। পাকিস্তানি উগ্রপন্থী নেতাদের পর, এবার বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার কথাতেও ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি শোনা যাচ্ছে। বিজয় দিবসের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করেন।
আমরা কলার চুষবো না, নিউক্লিয়ার বম্ব আক্রমণ করা হবে’ ভারতকে সতর্ক করেছেন
অলি আহমেদের কথায় পরিষ্কার যে, পাকিস্তানের প্রতি তাদের বিশ্বাস বেড়ে গেছে। তিনি অশালীন ভাষায় ভারতকে সতর্ক করে বলেন, 'যে ভারত ১৫ বছর বাংলাদেশকে গাভী হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেই দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের অনেক বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে, যাদের কাছে নিউক্লিয়ার বম্ব আছে এবং তারা দিতে প্রস্তুত। অতএব, আপনি ব্যবহার করবেন আর আমরা কলা চুষব, এমনটা হবে না। এখান থেকে নিউক্লিয়ার বম্ব লাঞ্চ করা হবে।'
![]() |
বাংলাদেশের প্রাত্তন সেনা কর্তা হুমকি মোদিকেও |
কলার পরিবর্তে নিউক্লিয়ার বম্ব লাঞ্চ করা হবে,
হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদলে গেছে। এবং এই পরিবর্তিত বাংলাদেশে ভারতের প্রতি প্রচুর ঘৃণা জমেছে। সেই ঘৃণা থেকেই বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার তীর ভারতের দিকে। বাংলাদেশের লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যানও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লক্ষ্যবস্তু করেন। 'মোদিকে বলব, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবেন না। অনেক দেশের অর্থনীতি বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি করলে এটা খুবই ব্যয়বহুল হবে।'
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার অবদানকে নস্যাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
শুধু প্রাক্তন সেনাকর্তা নন, বাংলাদেশের ছাত্রনেতার গলায়ও ভারত বিদ্বেষের সুর শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ছাত্রনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করেছেন। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল 'এখন TV'-তে এক ভাষণে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম মোদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদী বিরোধী। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হলে কাউকে বাছবেন না।'
এখন প্রশ্ন উঠছে, কাদের ওপর ভরসা করে ভারতকে সতর্ক করছে সে দেশের মৌলবাদীরা? কিছুদিন আগে এক পাকিস্তানি কট্টরপন্থী নেতার কথায় শোনা গিয়েছিল, পারমাণবিক শক্তি দিয়েও বাংলাদেশের পাশে থাকার সূচনা। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে পাকিস্তানের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়ার নিয়ম শিথিল করা, জিন্নাকে বাংলাদেশের জনক দাবি করা, এবং ১৯৭১-এর পর এই প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ নোঙর করা—সবকিছু মিলে বাংলাদেশের এই হুমকির পেছনে কোনও তৃতীয় শক্তির ওপর নির্ভরতার বিষয়টি স্পষ্ট।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ