বাংলাদেশে মার খাচ্ছে সংখ্যালঘুরা , ভিসার নিয়ম সহজ করে পাকিস্তানিদের জন্য দ্বার খুলছেন ইউনুস সরকার ।
ইউনুস সরকারের এইরকম সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লি। আশঙ্কা,এবার পাক জঙ্গিদের ঘাটি হয়ে উঠবে ঢাকা ৷
বাংলাদেশে চরম অত্যাচারের শিকার সংখ্যালঘুরা । সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে সংঘাত বেড়েছে ভারতের সঙ্গে। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে দেশে পাকিস্তানিদের স্বাগত জানাচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার! পাকিস্তানের নাগরিকরা, বিশ্বের যেখানেই থাকুক সহজে বাংলাদেশের ভিসা পান। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে ঢাকা। এমনকি পাকিস্তানের আগের বংশভূতরা ভিসা পেতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টিকেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। আশঙ্কা -এবার পাক জঙ্গিদের ঘাটি হয়ে উঠবে ঢাকা ৷
![]() |
মহম্মদ ইউনুস সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ । |
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর (ভারতে পালিয় আসার) থেকেই বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে উঠেপড়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারও। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশন থেকে বিদেশমন্ত্রকে কাছে এক চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে সাফ বলা হয়েছে, পাকিস্তানিদের জন্য যেন বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া সহজতর করা হয়। এর পরই এই নির্দেশিকা সমস্ত বাংলাদেশি দূতাবাস এবং ডেপুটি হাই কমিশনগুলোর জন্য জারি করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভিসা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের জন্যও ঝঞ্ঝাটমুক্ত করতে বলা হয়েছে। যাতে যেকোনও জায়গা থেকেই তাঁরা সহজে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন।
বাংলাদেশে চরম অত্যাচারের শিকার সংখ্যালঘুরা ।
উল্লেখ্য, অশান্ত পরিস্থিতিতেই ৩ নভেম্বর ঢাকার গুলশনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। হাসিনার পতনের নেপথ্যে ইসলামাবাদের কলকাঠি নাড়ার নানা তত্ত্ব উঠে এসেছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হতেই বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে শুরু করে পাকিস্তান। হাসিনা গদি হারানোর কয়েকদিন মধ্যেই খালেদা জিয়ার দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাক প্রতিনিধিরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ফের আবার যখন ডামাঢোল বাংলাদেশ, ঠিক তখনই উঠে পড়ে লেগেছে এবং মাঠে নেমে পড়েছে পাকিস্তান।আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সাক্ষাতের পরই পাকিস্তানিদের সুবিধার জন্য এহেন নির্দেশিকা জারি করেছে ইউনুস সরকার।
শেখ হাসিনার বক্তব্য কাঁচি ৷ বড় নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৷
বিশ্লেষকদের মতে, হাসিনা গদি হারানোর পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে জামাত, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলো। তাদের বাড়বাড়ন্তে বিপন্ন সংখ্যালঘুরা (বিশেষ করে হিন্দুরা )। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার জামাত-হেফাজতে। চুপ নেই বিএনপিও। যে হারে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে তাতে বহু হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। ভারতীয় হিন্দু জানলে সেই অত্যাচারের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ছে। এদিকে জামাতের মতো দলের কাছে হাত-পা বাঁধা ইউনুস সরকারের। এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতের কপালে। কারণ পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে বাংলাদেশে অবাধ বিচরণ হতে পারে পাকিস্তানিদের। বাড়বে পারে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। যার আঁচ এসে লাগবে দিল্লিতেও। ঢাকা থেকেই বসেই নাশকতার ছক কষা হবে। ফলে ঢাকা-ইসলামাবাদের এই বন্ধুত্বের উপর কড়া নজর রাখছে দিল্লি।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ