"একটাই দেশ-একটাই নির্বাচন" কার্যকরে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র! মোদীর মন্ত্রিসভা দিল অনুমোদন ৷
"একটাই দেশ-একটাই ভোট’" এই নীতি কার্যকর করার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গেলো কেন্দ্র। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গ্রীন সিগন্যাল সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে এই নীতিতে। সূত্রের খবর - সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিষয়ে বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। "একটাই দেশ-একটাই ভোট’" চালু করার জন্য বুধবারও জোরদার সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ার কারণে দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।
"একটাই দেশ-একটাই নির্বাচন" ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি অনেক দিন ধরেই আগ্রহী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এই নিয়ম কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
![]() |
One Nation One Election |
One Nation One Election
"একটাই দেশ-একটাই নির্বাচন" ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে মোদী সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা কমে যাবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক যে করে তা থমকে যাবে না। এবং তার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত নানা কাজকর্মের একটাতেই হয়ে যাবে। তার থেকে বড় কথা দেশের ভোট করাতে যে প্রচুর ব্যায় করতে হয়, তা অনেক সাশ্রয় হবে বলাই যায়।
আরও পড়ুন :
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাফ জানিয়ে দিলেন দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে আম আদমি পার্টি৷
এই নিয়ম কার্যকর করতে অনেক দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করতে শুরু করে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে— সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত মার্চ মাসে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে একই সঙ্গে একাধিক দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোটের মতো আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিও ওই একই সময়ে করানোর কথা বলা হয়েছে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যদিও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা বিপক্ষ। একসঙ্গে সব নির্বাচন করার ব্যবস্থা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আপত্তি জানিয়ে আসছে । বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছে এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। সেই আবহেই এ বার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে পারে ‘"একটাই দেশ-একটাই নির্বাচন" বিল।
সূত্রের খবর, এই বিলটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্চা হতে পারে— তা আঁচ করে আগাম পরিকল্পনাও সেরে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই এটি নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলটি খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর কথাও ভাবছে তারা। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্র।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ