বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বক্তব্য কাঁচি ৷ বড় নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৷
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নয় - নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৷
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলাদেশে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ইউনূসই’। এ বার বাংলাদেশে হাসিনার বক্তব্য ‘সেন্সর্ড’ হতে চলেছে?
এ বার বাংলাদেশে হাসিনার বক্তব্য ‘সেন্সর্ড’ হতে চলেছে?
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
![]() |
বাংলাদেশে হাসিনার বক্তব্য ‘সেন্সর্ড’ হতে চলেছে |
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সর্বনাশের জন্য দায়ী করলেন ইউনূস।
যতটকু খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দ্বারা শেখ হাসিনার যে সব উসকানিমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয় এর আগে শেখ হাসিনার যতগুলো যে সমস্ত উসকানিমূলক মন্তব্য বলে মনে হবে সেগুলি বাংলাদেশের সমস্ত মাধ্যম থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি)-কে সরাতে বলেছে - বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কারণ শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখছে তা আরও বাংলাদেশর রাজনৈতিক অন্য দিকে মোড় নিতে পারে ৷ এখন বাংলাদেশের বর্তমানের পরিস্থিতি খুব জটিলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ৷
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন। কিন্তু তিনি নিউ ইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। সেখানেই গণহত্যা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ঘটনার জন্য ইউনূসকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শেখ হাসিনার সাধারণ এবং রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশের আদালতের পর্যবেক্ষণ, ঘৃণাভাষণ গোটা বিশ্বেই একটি অপরাধ। তাই তা বন্ধ করার জন্য এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলি মুছে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল সব পক্ষের মন্তব্য শুনে তা অনুমতি দিয়েছে ।
কূটনৈতিক মহলের অবশ্য দাবি, সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এই রায় তাঁর একাধিক বক্তব্যকে কিছুটা ‘সেন্সর’ করার মতোই বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল ৷
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ